হাফিজুর রহমান জিয়া, জগন্নাথপুর থেকে: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণের ৬ দিন পর অবশেষে উদ্ধার হওয়া বৃটিশ তরুনী তামান্না আক্তারকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপহরণকারী আল আমিনকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের পাটলি ফরিদপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের বখাটে ছেলে আল আমিন (২৫) একই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ মুহিবুর রহমানের বৃটিশ তরুনী কন্যা তামান্না আক্তারকে (১৭) বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কনে পক্ষ উক্ত বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
অবশেষে গত ২১ জানুয়ারী বুধবার রাত ৯ টার দিকে আল আমিন তামান্না আক্তারকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃতা তামান্না আক্তারের মা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জোসনা বেগম বাদী হয়ে অপহরণকারী আল আমিনসহ ১০ জনকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আলোকে পরদিন বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী আল আমিনের মা সৈয়দুন্নেছা, বোন শাবানা বেগম ও নাজমা বেগমকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
অবশেষে অপহরণের ৬ দিন পর গত ২৬ জানুয়ারী সোমবার রাত ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ছাতক উপজেলার হায়দরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃতা বৃটিশ তরুনী তামান্না আক্তারকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আল আমিনকে গ্রেফতার করে জগন্নাথপুর থানায় নিয়ে আসে। চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তকারী অফিসার জগন্নাথপুর থানার এস আই লুৎফর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া বৃটিশ তরুনী তামান্না আক্তারকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপহরণকারী আল আমিনকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।