আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়া ও ইরাকে কুর্দিদের অর্জনকে উল্টে দিতে চাইছে তুরস্ক। কুর্দি বিদ্রোহী ও আইএসের বিরুদ্ধে দু’রণাঙ্গনে যুদ্ধে তুরস্ক আইএসের উপর খুব কমই হামলা চালাচ্ছে, বরং উত্তর সিরিয়ায় পি কে কে ক্যাম্পগুলোর উপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে। আইএস নয়, এরদোগানের আসল লক্ষ্য হল পি কে কে। খবর দি গার্ডিয়ান।ইসলামিক স্টেটের প্রায় সকল যোদ্ধাই তুরস্ক হয়ে সিরিয়া প্রবেশ করেছে। ধারণা করা হয় যে, আইএসে প্রায় ১২ হাজার যোদ্ধা রয়েছে। ২০১৪ সালে আল-কায়দার সিরিয়া শাখা আল-নুসরা ফ্রন্ট যখন কাসাব দখল করে তখন এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, তারা তুরস্কের অভ্যন্তর থেকে সংগঠিত হওয়ার অনুমতি পেয়েছিল। আংকারা প্রথমে কোবানিতে আইএসের অবরোধ ভাঙতে কুর্দি পেশমের্গার লড়াইয়ের বিরোধিতা করেছিল। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মতে, আইএসের চেয়ে পি কে কে তুরস্কের জন্য অনেক বড় হুমকি।পি কে কে’র সাথে শান্তি প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করলে এরদোগানের জন্য ঘরোয়া পর্যায়ে সুবিধাজনক। ২০১৫ সালের নির্বাচনে কুর্দি বামপন্থী দল এইচডিপির সাফল্য এরদোগানকে বিজয়ী হতে দেয়নি। সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযান এখন কথিত সন্ত্রাসী সমর্থক এইচডিপিকে টার্গেট করার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সব কিছু মিলিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারকৃত যুদ্ধে পাশ্চাত্য আঁতাতবদ্ধ। ১৯৯১ সালে তারা ইরাকে যা করেছিল, কুর্দি ও গণতন্ত্র দ্রুত আরেকবার বিকিয়ে দেয়া হয়েছে।
নাতালি নুগেরেদে বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামাকে সিরীয় বিদ্রোহীদের অস্ত্রসজ্জিত করার ২০১২ সালের গ্রীষ্মের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অস্বীকারের মাধ্যমে সিরিয়াতে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। ২০১২ সালের ১ আগস্ট রয়টার্স জানায়, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার সরকারকে উৎখাত করতে ইচ্ছুক বিদ্রোহীদের প্রতি মার্কিন সমর্থন অনুমোদন করে ওবামা একটি গোপন আদেশে স্বাক্ষর করেন। এটা সিআইএ ও অন্যান্য মার্কিন সংস্থার জন্য বিদ্রোহীদের ব্যাপকভাবে সমর্থনের মওকা এনে দেয়। এ বছরের জুনে ওয়াশিংটন পোস্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানায়, গত কয়েক বছরে সিআইএ প্রায় ১০ হাজার যোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রসজ্জিত করেছে ও তাদের সিরিয়া পাঠানো হয়েছে।