ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য পদ পেতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে ফিলিস্তিন। পাশাপাশি আইসিসিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যউপাত্ত জমা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘের নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর এই আবেদনপত্র জমা দেন। ইসরায়েলের যুদ্ধপরাধের বিচার ও অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে আইসিসির সদস্য পদ পেতে চায় দেশটি। এদিকে, ফিলিস্তিনের দেওয়া আবেদনপত্র ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র গ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, পরবর্তী পর্যায় হচ্ছে এগুলো রিভিউ করা। তবে এই আবেদনপত্রের ফলাফল আসতে অন্তত ৬০ দিন লাগবে।
আবদনপত্র জমা দেওয়ার সময় শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত সাংবাদিকদের রিয়াদ মানসুর বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি আবেদনপত্রে গুরুত্ব পেয়েছে। ইসরায়েলি দলখদারিদের যুদ্ধাপরাধের শিকার এমন ফিলিস্তিনিরাও এ আবেদনপত্রটি অনুমোদন করেছেন।’ এর দুই দিন আগে হেগভিত্তিক আইসিসিতে যোগ দেওয়ার আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
মানসুর বলেন, ‘আমরা সম্মানিত বোধ করছি,আমরা আইসিসির ১২৩তম সদস্য দেশ হিসেবে যুক্ত হতে চলেছি। এটির কার্যকারিতা আসতে ৬০ দিনের মতো সময় লাগবে। এটি খুব তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আমরা অব্যাহত রাখব। এটি একটি আইনগত, সুশীল ও শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ। যিনি আইন মান্য করেন, এ পদক্ষেপ দেখে তার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা আইন বিশেষত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বিচারের বিষয়ে ভীত নই।
জাতিসংঘে আলজাজিরার সাংবাদিক ক্রিস্টিন স্যালোমি বলেন, ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্তে ফিলিস্তিন যে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে, তা গৃহীত হবে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। কারণ আইসিসিতে প্রতি বছর শত শত এ রকম আবেদন আসে, যা এর খুব কমই গ্রহণ করা হয়। তাই আইসিসির সদস্য পদ ফিলিস্তিন পাবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে।
মাহমুদ আব্বাস ওই আবেদনপত্রে স্বাক্ষরের পর বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠকে ডাকেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠকের পর ফিলিস্তিনের ওই আবেদন না নিতে আইসিসির প্রতি আহ্বান জানান নেতানিয়াহু।
গত বছর ইসরায়েল ৫০দিনব্যাপী ফিলিস্তিনের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে প্রায় আড়াই হাজার লোক নিহত হন, যাদের অধিকাংশ নারী, শিশু ও নিরীহ জনগণ। -বিবিসি।