শেরপুর: আগামী সংসদ নির্বাচন ‘পৃথক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আওয়ামী লীগের শক্তি নয়, মূল শক্তি দেশের জনগণ এবং সংগঠন। তার কোনো একটা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে আওয়ামী লীগে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।’
৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন একটি পৃথক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে সংগঠনকে সঠিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে।’
তৃণমূল সম্মেলন অনেক দেরিতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এভাবে সম্মেলন হলে আওয়ামী লীগ আর বেশিদিন থাকবে না।’
তিনি বলেন, একাধিক প্রার্থী থাকায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। এজন্য সময়মতো তৃণমূলের সম্মেলন না হওয়াকে দায়ী করেন দলের মুখপাত্র।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর জেলার সম্মেলন হবার কথা থাকলেও দীর্ঘ এক যুগ পর শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে। তাহলে কী দরকার আছে সেই গঠনতন্ত্রের। ছিঁড়ে ফেলে দিন সেই গঠনতন্ত্র।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
