আন্দোলন ব্যর্থ হলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে: মির্জা ফখরুল

0
552

Fokhrul 01ঢাকা: ‘গণতন্ত্র রক্ষায়’ বিএনপির চলমান আন্দোলন ব্যর্থ হলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার যখন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে, তখন তাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই কঠিন হয়। এই লড়াইয়ে সময় লাগতে পারে, কিন্তু ইতিহাস বলে লড়াই ব্যর্থ হয়নি। মানুষ সংগ্রাম করেই তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক ফোরাম আয়োজিত ‘উন্নয়নের পূর্বশর্ত গ্রহনযোগ্য নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় হলেই দেশে গণতন্ত্র, উন্নয়ন সবই সম্ভব, মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফেরাতে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ও সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন সফল হবে।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশে সামরিক শাসন আসতো, বিএনপি চেয়ারপারসন এটাই চেয়েছিলেন; সেজন্য নির্বাচন চায়নি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি কখনো সামরিক শাসনের পক্ষে ছিলো না।
তিনি বলেন, এদেশে যতবারই সামরিক শাসন এসেছে তাতে আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিলো। অনেকে বলেন, জিয়াউর রহমান সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। কিন্তু এটি সত্যের অপলাপ। তিনি (জিয়াউর রহমান) সামরিক শাসন জারি করেননি। এদেশে সামরিক শাসন জারি করেছেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তিনি আওয়ামী লীগের লোক।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৮২ সালে এরশাদ যখন সাত্তার সাহেবকে সরিয়ে সামরিক শাসন জারি করেছিলেন, তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আই এম নট আনহ্যাপি। ১/১১ এর মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারকে তারা তাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে দাবি করেছে।’
ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিরা ‘অহমিকা ও দাম্ভিকতা’ নিয়ে কথা বলছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তা রাজনৈতিক বা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। তারা এই ধরনের অহমিকা আর দাম্ভিকতা দিয়ে জনগণের রায়কে ধুলিসাৎ করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তারা দেশকে নিজেদের পৈত্তিক সম্পতি মনে করে। অহমিকা ও দাম্ভিকতা দিয়ে সাময়িক বেঁচে আছে আওয়ামী লীগ।’
‘সরকার নয়, র্যা ব-পুলিশ দেশ চালাচ্ছে’ এমনটি দাবি করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে যারা আছেন তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই।
ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাদের কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে? …তাদের বিরোধী দলের দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। এইজন্য তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজ করছে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এইচ এম হারিছুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।