ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুস সুবহানের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আবদুস সুবহানের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের সাজা ঘোষণা হবে এবং সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ড দ্রুত কার্যকর করা হবে। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনটি অভিযোগে আবদুস সুবহানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে এক, চার ও সাত নম্বর অভিযোগ দোষী প্রমাণিত হওয়ার আদালত তাকে ফাঁসি দেয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় এসে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করেছিলো। যাদেরকে সাজা দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে তদন্ত করা হয়েছিলো। তদন্তে যখন প্রমাণিত হয় তারা একাত্তরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো তখনই তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। এই রায়ের ফলে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিলো তাদের ঋণ কিছুটা হলেও পরিশোধ হয়েছে।’
রায় ঘোষণায় ট্রাইব্যুনালের দীর্ঘ প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচারপতিদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় চিন্তা ভাবনা করে। সময় একটু লাগতেই পারে। এটা আইনের শাসনের শিক্ষা।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামরুজ্জামানের রায় এখনো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কেন এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া? জবাবে তিনি বলেন, এটা বিচারিক প্রক্রিয়া। রায় লেখা বিচারকদের বিষয়। তাই এটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ।
আইনমন্ত্রী আশা করেন কামরুজ্জামানের রায়ের সার্টিফাইড কপি আগামী রোববারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সেকশনে নেমে আসবে। সেখানে আসার পর থেকে রায় কার্যকরে পনের দিন গণনা শুরু হবে।