ঢাকা: সাভারের আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার শিমুলতলায় একটি ঝুট পল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ভোর সাড়ে ৪টায় লাগা এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সেখানকার পাশ্ববর্তী একটি শ্রমিক কলোনীতেও। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের কাজ শুরু করে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা চেষ্টার পর সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
কিভাবে আগুন লেগেছে তা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি। এ সময় ৪২টি ঝুটের গোডাউনের মধ্যে প্রায় ৪০টি গোডাউন পুড়ে যায় । আগুনে পার্শ্ববতী শ্রমিক পল্লীর ৮/১০টি বাড়ির মালামাল পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রনে ডিইপিজেড ফায়ার ষ্টেশনের সঙ্গে পাশ্ববর্তী টঙ্গী ফায়ার ষ্টেশন, ধামরাই ফায়ার ষ্টেশন ও সাভার ফায়ার ষ্টেশনের মোট ১২টি ইউনিট কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে সূত্রে যায়, ভোর সাড়ে চারটার দিকে ইউনিক এলাকার শিমুলতলার জিএসএম এ্যাপারেলসের পাশে ঝুট পল্লীর ব্যবসায়ী কাঞ্চনের মালিকানাধীন গোডাউন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ঘুম থেকে উঠে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করলে খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস, ধামরাই, সাভার, টঙ্গীসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে ঝুট পল্লীসহ শ্রমিক কলোনীর আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। প্রথম দিকে আগুনের তীব্রতা বেশী থাকায় ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়। পরবর্তীতে সব কয়টি ইউনিট এক যোগে কাজ করে সকাল আটটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ঝুট পল্লীর ৪২টি গোডাউনের মধ্যে প্রায় ৪০টিই ভস্মিভূত হয়। আগুন প্রথমে ঝুটের গোডাউন থেকে সুত্রপাত হলেও পরবর্তীতে শ্রমিক কলোনীর প্রায় ৮/১০টি আবাসস্থলের মালামাল পুড়ে যায়।
ডিইপিজেড ফায়ার ষ্টেশনের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার আব্দুল হামিদ ঝুট পল্লীর আগুনের ঘটনাটি নিশ্চত করলেও আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেন নি।