ঢাকা: দেশবাসীর নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ঈদুল আজহা উদযাপনে যেখানে যা লাগবে তাই করা হবে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিকরা যেন ঈদের আগে বেতন-বোনাস পান সে জন্য পোশাক কারখানার মালিকদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা এতে একমত হয়েছেন। একই সাথে পোশাক কারখানাগুলোকে ধাপে ধাপে চলতি মাসের ২২, ২৩ ও ২৪ তারিখে ছুটি দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশ ও র্যাবের প্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং পোশাক কারখানার সংগঠন বিজিএমই-বিকেএমইর সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের আগে ঘরমুখী মানুষ বাড়ি ফেরার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। সে জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারো পোশাক করাখানাগুলোকে তিন ধাপে ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছুটির সময় পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মতো আশুলিয়া এলাকাও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আশুলিয়ার পোশাক কারখানার নিরাপত্তার পাশপাশি চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
রাজধানীর আশপাশের সড়কগুলোর নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত রাখা হবে। প্রধান সড়কগুলোর যানজট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যেকোনো ঘটনা মোকাবেলায় যেখানে যা করা প্রয়োজন সেখানে তাই করা হবে।