ঢাকা: অতিরিক্ত সচিবসহ পদোন্নতিযোগ্য সব শূন্য পদে পদোন্নতি প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার দিনব্যাপী কালো ব্যাজ ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মরত কর্মকর্তারা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। ইসি কর্মকর্তাদের অন্যান্য দাবির মধ্য রয়েছে ১১০টি উপজেলার নির্বাচন অফিসার ও সমমানের পদ সিনিয়র স্কেলে উন্নীত করা, ৪৫ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ২০টি অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদ উপ সচিব পদে উন্নীত করা, ৪৫ জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে জিপগাড়ি দেয়া এবং ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের চাকরি স্থায়ী করা ও সিলেকশন গ্রেড দেয়া।
এ বিষয়ে আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন সার্ভিসেস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী। অন্যদিকে পদোন্নতির দাবিতে আলটিমেটাল দিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের তৃতীয় শ্রেণী এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে।
এছাড়া ইসিতে কর্মরত উচ্চমান সহকারীকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাঁটলিপিকারকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, সাঁট মুদ্রাক্ষরিককে প্রশাসনিক কর্মকতা, হিসাব সহকারীকে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, অফিস সহকারীকে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকতা পদে পদোন্নতির দাবি জানানো হয়েছে। এসব দাবি আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব মো. রেজাউল মোস্তফা ও সভাপতি এ এম শামসুজ্জামান।
অপরদিকে কালো ব্যাজ ধারণ করার কঠোর সমালোচনা করেছেন নির্বাচন কমিশনে কর্মরত একাধিক কর্মচারী। তারা বলছেন, পদোন্নতির দাবিতে ইসির কর্মকর্তারা যে কালো ব্যাজ ধারণ করছে এটা একেবারেই অযৌক্তিক। ২০১১ সাল থেকে তিন দফায় তাদের পদোন্নতি হয়েছে। কিন্তু ২০০৫ পর থেকে কর্মচারীদের কোনো ধরনের পদোন্নতি হয়নি। তারা ইসির কর্মচারীদের কথা না ভেবে নিজেরদেরটা নিয়ে বেশি ব্যস্ত।