ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদনের শুনানি হবে আগামি ১ এপ্রিল। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের বেঞ্চ আজ এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
কামারুজ্জামানের পক্ষে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মৌলভি ওয়াহিদুল্লাহ। কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন উপস্থিত থাকতে না পারায় মৌলভি ওয়াহিদুল্লাহ এ আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আগামি ১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ৫ মার্চ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন দায়ের করার পর এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, এখন দেশে একটা অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা যারা আইনজীবী আছি, অনেকেই রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারি না। অনেকেই শঙ্কিত। রিভিউ পিটিশন শুনানিতে আসার ব্যাপারে মাননীয় আদালত তাড়াহুড়া করবেন না, সেই আবেদন আমরা করব। আমরা আশা করি, আদালত আমাদেরকে সেই সুযোগ দেবেন।
অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে বলেন, কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদনটি সোমবারের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য আসবে। তিনি বলেন, রিভিউয়ে বিস্তারিত শুনানির কোনো অবকাশ নেই। মূল রায়ে আদালতের যদি কোনো ভুল থাকে, তাহলে শুধু তা দেখিয়ে দিতে পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে গেলে কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। তবে সেটি রায় কার্যকরের দিন নির্ধারণের সময় অথবা রায় কার্যকরের দিনের কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে করতে হবে।
গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দায়ের করেন। আইনজীবীরা জানান, ৪৫ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে মোট ৭০৪ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট দাখিল করা হয়েছে।
গত বছরের ৩ নভেম্বর কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন এ রায় ঘোষণা করে ছিলেন আপিল বিভাগ। এর আগে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।