ঢাকা: কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন তার আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে কামারুজ্জামানের আইনজীবী এ্যাডভোকেট শিশির মো. মনিরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আইনজীবী কারাগারে পৌঁছান। আইনজীবী শিশির মনির জানান, কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হবেন।
এর আগে বুধবার কামারুজ্জামানকে রিভিউ আবেদনের রায় পড়ে শোনানোর পর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা কারাকর্তৃপক্ষের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবীদের সাথে কথ বলে তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলে জানায়। এর আগে চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর রায়ের কপি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন না জানালে কারা কর্তৃপক্ষ তার ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেবে। আর প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করতে চাইলে তাকে সময় দেয়া হবে।
আইনমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, এ সময় হবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এদিকে আদালতের রায় কার্যকরের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, রায় কার্যকরের জন্য সোমবার থেকেই ফাঁসির মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত। কারা প্রশাসন ইতিমধ্যে এক দফা মহড়া শেষ করেছে। ৮২ কেজি ওজনের ব্যক্তিকে ঝোলানো সম্ভব কিনা- তা প্রমাণের জন্য দুটি বালুর বস্তা দিয়ে সোমবার এক দফা পরীক্ষা করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মোট ১৬টি ফাঁসির রশি আছে, এর একটি নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। যে ছয়জন জল্লাদ এখন কারাগারে আছেন, তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তাদের যে কোনো তিনজনকে নেয়া হবে। ফাঁসি কার্যকরের মাত্র এক ঘণ্টা আগে জল্লাদদের এসব তথ্য জানানো হবে।
প্রস্তুতির ব্যাপারে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী সাংবাদিকদের জানান, আদেশ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব।