কুলাউড়া: কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ৪ সহযোগীসহ ধর্ষণ করেছে এক পাষণ্ড। তারা ওই গৃহবধূর বাড়িতে লুটপাটও চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ছয়ফুল আলীসহ তার ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। জানা যায়, অভিযোগকারী প্রবাসীর স্ত্রী ৩ সন্তান নিয়ে বাড়িতে থাকেন। এ সুযোগে দীঘলকান্দি গ্রামের ছয়ফুল তাকে কয়েকবার কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু গৃহবধূ তাতে রাজি না হওয়ায় ছয়ফুল নিজে এবং অন্যদের দিয়ে তাকে ধর্ষণ করার হুমকি দেন। ২৯ জুলাই রাত ৩টায় ছয়ফুলের নেতৃত্বে তার ৪ সহযোগী মিলে গৃহবধূর ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে। এরপর ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, মূল্যবান কাপড় চোপড়, মোবাইল ফোন ও ১ লাখ ১০ হাজার টাকা লুট করে। পরে ছয়ফুল আলী ও তার সহযোগীরা গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে গৃহবধূ জ্ঞান হারালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ফজরের আজানের আগে গৃহবধূর বড় ছেলে জেগে উঠে মাকে অজ্ঞান অবস্তায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ৩০ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন- মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গাইনি বিভাগের বি/১৭ নম্বরে চিকিৎসা নেন তিনি। গাইনি বিভাগের ছাড়পত্রে ধর্ষণের কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়। চিকিৎসা শেষে ফিরে ১০ আগস্ট কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ গৃহবধূর মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ধর্ষিতা। তবে মামলা না নেয়ার বিষয়টি কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে মেডিক্যাল রিপোর্টসহ প্রতিবেদন জমা দিতে কুলাউড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।