
ঢাকা: খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের পথ আটকে থাকা পুলিশের গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে চলে আসা অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান ঘটল এবং দৃশ্যত ওই কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সুযোগ পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। রবিবার মধ্যরাত পেরিয়ে আড়াইটার দিকে ঢাকার অভিজাত এই এলাকার ৮৬ নম্বর সড়ক থেকে পুলিশের জলকামানের গাড়ি ও দুটি ভ্যান সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় বাড়তি পুলিশ। এরপর গুলশান-২-এর ওই সড়কটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়, ওই সড়কের ৬ নম্বর বাড়িটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়।
পুলিশি ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ার পর ওই কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থানরত খালেদার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান বলেন, ম্যাডাম (খালেদা) দোতলায় আছেন। এখন গভীর রাত। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই। রাত আড়াইটার দিকে প্রথমে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের উত্তর দিকে রাখা পুলিশের দুটি ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর দক্ষিণ দিকে রাখা হলুদ রংয়ের জলকামানের গাড়িটি পুলিশ সরিয়ে নেয়। এরপর কার্যালয়ের সামনের এবং ৮৬ নম্বর সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কখন বাসায় যেতে পারেন বা পরবর্তী কর্মসূচি কী হতে পারে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনে কর্মসূচি ঘোষণার পর ৩ জানুয়ারি রাতে গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ হন খালেদা জিয়া। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানের অফিস থেকে বেরোতে চাইলে তার পথ আটকায় পুলিশ। দুই দিন পর ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি পালনে বেরোনোর প্রস্তুতি নিলে খালেদার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশি বাধায় কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়ে সারা দেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বিএনপি প্রধান। পরে তালা খুলে নেওয়া হলেও কার্যালয়ের সামনে পুলিশের দুই স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি বড় লরি ও জলকামান রাখা হয়। দুই প্রান্তে ব্যারিকেডে বন্ধ থাকে সড়কে যান চলাচল।