নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা সংলগ্ন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে ২০ দলীয় জোটের ২৭ ডিসেম্বরের জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। যেকোনো মূল্যে জনসভা সফল করার খালেদা জিয়ার নির্দেশের পর প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। জনসভা করতে না দেয়ার ছাত্রলীগের হুমকিকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না ২০ দলীয় জোট।
জোট নেতাদের মতে, ওই দিন বাধা এলে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগই জনস্রোতে ভেসে যাবে। এই জনস্রোত ঠেকানোর সাধ্য আওয়ামী লীগের থাকবে না।
গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এম.এ মান্নান, গাজীপুর-২ (সদর-টঙ্গী) আসনে বিএনপির সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুলসহ সব নেতারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সার্বিক বিষয় সমন্বয় করছেন জেলা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার অব. আ.স.ম হান্নান শাহ।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, কোনো ধরণের হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না। ওই দিন জনসভায় বাধা এলে এর ভয়াবহ পরিণতি সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী। এর পরও সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে শ্রমিক শ্রেণীসহ সব পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-সম্পাদক ও টঙ্গী সরকারি কলেজের জিএস জিয়াউল হাসান স্বপন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায় বাধা এলে ওই দিন ছাত্রলীগ ও তাদের মদদদাতারাই গণধোলাইয়ের শিকার হবে।