ঢাকা: বার বার আহ্বান জানানোর পরও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনে খালদা জিয়ার কেক কেটে জন্মদিন পালনের কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। রবিবার সকালে ঢাকায় এক আলোচনা সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, এবার আপনি মিথ্যা জন্মদিন পালন করবেন না বলে জাতি মনে করেছিল। কিস্তু গতকাল আমরা দেখলাম যে আপনি ভুয়া জন্মদিন পালন করলেন। একজন পাগল, বিবেকহীন মানুষ ছাড়া কেউ এ ধরনের কাজ করতে পারে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে একদল সেনাসদস্য। প্রতিবছর দিনটি পালন করা হয় জাতীয় শোক দিবস হিসেবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার মধ্যেও ওই দিনটিতে নিজের জন্মদিন পালন করে আসছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, যার একাধিক জন্মদিন ও জন্মসালের হদিস পাওয়া যায়। এবার ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না রাখলেও শনিবার রাতে নিজ হাতে জন্মদিনের কেক কাটেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র থেকে পিছু হটেননি মন্তব্য করে মন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিএনপি নেত্রী দুটি কারণে মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। প্রথমত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ধ্বংস করা, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। ষড়যন্ত্রকারীদের খুশি রাখতে তিনি ভণ্ডামির জন্মদিন পালন করেন। এই বয়সেও এভাবে সেজেগুজে জন্মদিন পালন করেন। বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে ঠিকই। কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিঃশেষ করে দিতে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছিল। কিন্তু ঘাতকরা সফল হয়নি। এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী আরো বলেন, আপনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আম হারিয়েছেন। আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে অংশ না নিলে ছালাও হরাবেন। আপনার অবস্থা শেষ পর্যন্ত মুসলিম লীগের মতো হবে। সন্ত্রাস-অগ্নিসংযোগ বন্ধ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে না এলে, গণতন্ত্রের ধারায় ফিরে না এলে আপনাকে আম-ছালা দুটিই হারাতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন আবোল-তাবোল কথা বলছেন। তিনি একেক সময় একেক কথা বলেন। একবার বলেন তত্ত্বাবধায়কের অধীন নির্বাচন দিতে হবে। একবার বলেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন চাই। একবার বলেন, তত্ত্বাবধায়ক নয়, সুষ্ঠু হবে এমন কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এতো কথা না বলে তার উচিত হবে আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়া। শেখ হাসিনার অধীন ওই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিন আপনি।