ঢাকা: চীন ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে সাদৃশ্য টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে চীন ও বাংলাদেশের জনগণ আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজীবন সাম্রাজ্যবাদের কবল থেকে মুক্তি পেতে লড়াই করেছে। এখনো তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই করে চলেছে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘চীনের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বাংলাদেশ-চীনের ৩৯তম কূটনৈতিক সম্পর্ক’ শীর্ষক সেমিনারে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এশীয় অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতি পরস্পরের সঙ্গে ঔতপ্রোতভাবে জড়িত। সেজন্য সবদিক দিয়ে দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য সহযোগিতা উন্নয়নের পূর্ব শর্ত।
মির্জা ফখরুল বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশর বন্ধুত্ব কয়েক যুগ ধরে। দুদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আধুনিক গণচীনের সঙ্গে সর্বপ্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনিই প্রথম এ দুদেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করেছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মুক্তি দাবি করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমি সেই নেতাকে (মোশারর হোসেন) স্মরণ করছি, যিনি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশর সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সেই নেতাকে আজ অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রেখেছে সরকার।’
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত চু জুয়ানজু বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চীন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হক নান্নুর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসিচব বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুবউল্লাহ প্রমুখ।
এশীয় অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতি পরস্পরের সঙ্গে
ঔতপ্রোতভাবে জড়িত। সেজন্য সবদিক দিয়ে দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য
সহযোগিতা উন্নয়নের পূর্ব শর্ত।
Comments are closed.