গাইবান্ধা প্রতিনিধি: জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় র্যা বের সঙ্গে কতিত বন্দুকযুদ্ধে মোস্তফা মঞ্জিল (৩৩) নামে একজন নিহত হয়েছেন। গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের বুড়িরঘর এলাকায় মঙ্গলবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৭টি পেট্রোলবোমা, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহত মোস্তফা জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় সদস্য এবং পলাশবাড়ীতে বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় ৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি। র্যাসবের গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের চেষ্টাকালে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহত মোস্তফা মঞ্জিল গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের মো. জছিজল মাস্টারের ছেলে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান দ্য রিপোর্টকে জানান, র্যা পিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যা্ব-১৩ অবরোধে সড়কে টহল ডিউটি পালন করছিল। মঙ্গলবার ভোরে র্যা বের গাড়িটি গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের বুড়িরঘর এলাকায় পৌছিলে মোস্তফা মঞ্জিল ও তার সহযোগিরা র্যা বকে লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের চেষ্টা করে এবং গুলি ছোঁড়ে। এ সময় র্যাোব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে মোস্তফা মঞ্জিল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে তার সহযোগিরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৭টি পেট্রোলবোমা, ১টি পিস্তল, একটি দেশে তৈরি বন্দুক ও একটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মোস্তফা মঞ্জিলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মোস্তফা শিবিরের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় একাধিক নাশকতা মামলা রয়েছে। এছাড়া তুলশীঘাটের যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যার মামলার অন্যতম আসামী ছিল মোস্তফা মঞ্জিল।
র্যা পিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যােব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (এডি) আশরাফ আলী দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ৬ ফেব্রুয়ারী রাত ১১টায় ওই একই এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া পেট্রোলবোমায়া নিক্ষেপের ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসের শিশুসহ ৮ জন নিহত হন।