জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার উদ্যোগে পঞ্চমবারের মত দক্ষিণ এশিয়ার সবচে বড় এই প্রজাপতি উৎসব শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়।
গত বছরের মত এবছরও ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগান সামনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে এ মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
মেলার উদ্বোধন শেষে ‘ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে’র পাশে প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে ‘বাটারফ্লাই রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড পার্ক’- এরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উপাচার্য।
এ সময় তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমাদের সবাই সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে এখানকার জীব জগতের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখবো।”
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালযের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল জব্বার হাওলাদার, আইইউসিএন এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজেদা বেগম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিক হায়দার চৌধুরী, মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
প্রজাপতি নিয়ে ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম গবেষণা শুরু করেন একই বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন।
দীর্ঘ গবেষণায় বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ প্রজাতির প্রজাপতির মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসেই তারা ১১৫ প্রজাতি সনাক্ত করেন।
আয়োজক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, “আমাদের দেশে প্রজাপতির নতুন নতুন প্রজাতির সন্ধান মিললেও প্রজাপতির মোট সংখ্যা দিন দিন কমছে। বনভূমি প্রতিনিয়ত কমে যাওয়ায় প্রজাপতির সংখ্যাও কমছে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রজাপতির ভূমিকা তুলে ধরে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।