নিউজ ডেস্ক: জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে রেল দূর্ঘটনায় ৪ জন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের আশংকাজনক অবস্থায় জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুড়ি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনার পর উত্তরাঞ্চলের সাথে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নিহতরা হলেন জয়পুরহাট কালেক্টরেট স্কুলের নৈশ প্রহরী আজাহার আলী, সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার সাদেকুল ও জয়পুরহাট পৌর এলাকার খঞ্জনপুরের জুয়েল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে খুলনা থেকে সৈয়দপুরগামী জ্বালানী তেলবাহি ২৮টি লরিসহ খুলনা কেআইপি থার্টিনাপ ট্রেনটি জয়পুরহাট রেল স্টেশন অতিক্রম করার পর হোস পাইপ খুলে ইঞ্জিন থেকে ২৪টি লরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হওয়া লরির পিছন থেকে গার্ড রেলের ড্রাইভারকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংবাদটি দেন। সংবাদ পেয়ে ড্রাইভার ইঞ্জিনটি থামালে বিচ্ছিন্ন হওয়া ২৪টি গতিশীল লরি প্রচন্ড জোরে পিছন থেকে ইঞ্জিনটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লরিতে অবৈধভাবে ভ্রমণরত নারী ও শিশুসহ ২৫ ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহতদের শরীর থেকে হাত পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তির (৩৫) পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর উদ্দীন আল ফারুক ও জয়পুরহাট দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজাহার (৩৮) সাদেকুল (২৯) ও জুয়েল হোসেন (৩০) মারা যায় বলে হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে। দূর্ঘটনার পর ট্রেন যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
দূর্ঘটনায় আহতরা হল জয়পুরহাট শহরের শান্তিনগরের সিরাজের পুত্র বাদল (৩৬), হাকিমপুর দিনাজপুরের ইসহাকের পুত্র আব্দুল খালেক ( ২০), হৃদয় পিতা অজ্ঞাত জয়পুরহাট, সেকেন্দার (২৪) ঠিকানা অজ্ঞাত, আব্দুল মজিদ (২৬) ঠিাকান অজ্ঞাত, রবিউল (২৮) পিতা আনসার আলী দেবীপুর জয়পুরহাট, খালেক (২৯) ঠিকানা অজ্ঞাত, সোহেল (২৩) দেবীপুর জয়পুরহাট, আবু জার (২২) ঠিকানা অজ্ঞাত, ইমরান (৩১) ঠিকানা অজ্ঞাত, বাচ্চু (২৫) নারায়নপাড়া, জয়পুরহাট, হাসিনা (৩৫) ও ইমরান ( ২২) হিলি হাকিমপুর দিনাজপুর, হৃদয় (১১)।
জয়পুরহাট রেল স্টেশন মাস্টার নূরুল ইসলাম দূঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, এ জন্য কে বা কারা দায়ী তা তদন্তের আগেই বলা যাবে না। তেলবাহি গাড়িতে কিভাবে লোকজন ভ্রমন করছিল এমন প্রশ্নে তিনি জানান এর জবাব সংশ্লিষ্ট গাড়ীর গার্ড এবং ড্রাইভার দেবেন।