ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে। জনগণ সচেতন থাকলে এই রোগের বিস্তার ঘটবে না। জনগণকে আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সরকার ডেঙ্গু রোগের সংক্রমন ঠেকাতে ইতোমধ্যে সব ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। শুধুমাত্র সচেতনতার সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এই রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
রোববার সচিবালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ঢাকার দুই মেয়রকে নিয়ে পথসভা করা হবে। জনগণের মধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ডেঙ্গুর প্রাথমিক উপসর্গ ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেয়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ সময় স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন, রেডিও এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য বাসাবাড়িসহ আশপাশের এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পরামর্শমূলক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু হলে রোগীর সুশ্রষার জন্য করণীয় সম্পর্কেও সচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে। সরকার জেলা পর্যায় পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারণা জোরদার করতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করেছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে কোরবানীর পর সংশ্লিষ্ট জায়গা দ্রুত পরিস্কার করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ময়লা আবর্জনা দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে এ সময় সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) সাহায্য অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে।
এ সময় সম্প্রতি জাতিসংঘ থেকে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ’ পদক অর্জন করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার জনগণের হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। হাসপাতালে যন্ত্রপাতি স্থাপন, শয্যা বাড়ানোসহ ব্যবস্থাপনার মান উন্নত করা হয়েছে।