আবুল হোসাইন, দিরাই থেকে: দিরাইয়ে শীলা বৃষ্টির পর এবার অতি বৃষ্টির পানিতে কয়েক হাজার হেক্টর বোরো জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে কৃষক পরিবারগুলোতে বৈশাখী ধান তুলার আনন্দ বেদনায় পরিনত হয়েছে।গত কয়েকদিনের ধরে টানা বৃষ্টিতে কমপক্ষে আড়াই হাজার হেক্টর জমি এ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে উপজেলার কৃষি অফিস জানিয়েছেন, এক হাজার পাঁচশত জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে।নদীতে পানি বেশী থাকায় স্লুইস গেইট খুলে অথবা বাধ কেটে এ পানি সরানোর আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।
সরেজমিন বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়,ভাটিপাড়া রফিনগর, ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক পাকা ধান তলিয়ে গেছে।হাটু পানির মধ্যে এলাকার শ্রমিকরা ধান কেটে উচু জায়গায় এনে রাখছেন। বরাম হাওর পারের কৃষক উজানধল গ্রামের আব্দুল আহাদ বলেন,দূর দুরান্ত থেকে আসা ধান কাটার শ্রমিকরা চলে গেছে। ৩ মন ধান দেবার শর্তে প্রতি কেদার ধান এলাকার শ্রমিকদের দিয়ে কাটাচ্ছি। এর পরও অনেকে পানির মধ্যে কাটতে চায়না।
চাপতির হাওর গিয়ে দেখা গেছে,অতি বৃষ্টিতে জমিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান একাই কাটছেন মাটিয়াপুর গ্রামের কৃষক এখলাচুর রহমান । এ প্রতিবেদককে দেখেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানালেন,খাইয়া না খাইয়া ২ কেয়ার জমিন রাখছিলাম ৬ হাজার টাকা দিয়া । ইবার ফলন ও অইছিলো বেশি। বৃষ্টির পানিতে সব ডুবে যাচ্ছে। আমরার দুঃখ কেউ দেখার নাই । ভাটিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মন্জুরুল আলম চৌধুরী জানান,গত ৩ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে কালিগুটা হাওরের নিচু এলাকার নিচু এলাকার সহস্রাধিক হেক্টর ফসল তলিয়ে গেছে।হাওর থেকে পানি বের না হওয়ায় ক্ষতির পরিমান আরও বেরে যেতে পারে। সরমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টির সাথে শিলা বৃষ্টিতে উদগল,বুড়ি দিরাই ও লড়ি পাঙ্গাইস্যা হাওরের ৩০০ হেক্টওর জমির পাকা ধান ঝরে ও তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুর রহমান বলেন, অতি বৃষ্টির পানিতে ১হাজার ৫শত জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে। নদীতে পানি বেশী থাকায় স্লুইস গেইট খুলে অথবা বাধ কেটে এ পানি সরানোর আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।