স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, যে কোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিহত করে দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী পুরোপুরি সক্ষম। সোমবার বগুড়ার নন্দীদীঘিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশনের শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে আয়োজিত এক দরবারে বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ক্রমাগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন একটি সময়োচিত, সুশৃংখল এবং আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমি নিশ্চিত, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী যে কোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিহত করে দেশের অখন্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী পুরোপুরি সক্ষম।
বগুড়া সেনানিবাসের ১১ পদাতিক ডিভিশন যান্ত্রিক যুদ্ধভিত্তিক কৌশলগত এ মহড়ার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এটি এ ধরনের প্রথম আয়োজন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।
এ সুশৃংখল অনুষ্ঠানের শুরুতেই বগুড়া সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহিল বাকী মহড়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। মহড়া পরিচালনা করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুদ্দিন।
এ মহড়া আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, শীতকালীন এ মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ ধরনের একটি দক্ষতাপূর্ণ মহড়া দেখতে পেরে আমি সত্যিই গর্ব বোধ করছি। আপনারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর গর্বিত উত্তরাধিকার। এ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এসব অফিসার ও জওয়ানরা স্বাধীনতাকামী মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। এদের মধ্যে অনেকেই সেদিন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে শহীদ হয়েছেন। আমি মনে করি, তাদের ত্যাগ এখনো দেশ রক্ষায় আপনাদের অনুপ্রাণিত করে।