ঢাকা: বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে ২৮৯ রানের টার্গেট খাড়া করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ব্যাট করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শতকে ভর করে ৭ উইকেটে ২৮৮ রান করে টাইগাররা। বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে অনন্য নজির গড়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের পর শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
১১১ বলে আটটি চার ও দুটি ছক্কায় শতরান পূরণ করেন রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ১২৩ বলে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানে প্রথম দুই উইকেট হারানোর পর সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক।
তবে অর্ধশতক তুলে নেয়ার পরই আউট হয়ে যান সৌম্য। রিয়াদের সাথে ৯০ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন তিনি। এটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সৌম্যর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। ৫৫ বলে অর্ধশত পূরণ করেন বা হাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৫১ করে আউট হন।
ড্যানিয়েল ভেট্রোরির করা ২৮তম ওভারের চতুর্থ বলে উঁচু করতে মারতে গিয়ে লং অফে কোরি অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়েন সৌম্য।
সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে আসে সাকিব আল হাসান। শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ১৮ বলে ২৩ করে উইকেটরক্ষক লুক রনচির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪ রানের সময় ট্রেন্ট বোল্টের বলে পরিস্কার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। ১৯ মোকাবেলা ২ রান করেন তিনি।
কায়েসের পর ফিরে গেছেন তামিম ইকবালও। এবারও শিকারি সেই বোল্ট। দশম ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা কোরি অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়েন তামিম। ২৭ বল খেলে দুই চারে ১৩ রান করেন তামিম।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন দুই বা হাতি ব্যাটসম্যান তামিম ইকবার ও ইমরুল কায়েস।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৪৭.৪ ওভারে ২৬২/৪। ক্রিজে আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও নাসির হোসেন।
শুক্রবার ‘এ’ গ্রুপের ৩৭তম ম্যাচে হ্যামিল্টনে মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। এরই মধ্যে দু’দলই কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফির বদলে দলে অর্ন্তভূক্ত হয়েছেন নাসির হোসেন এবং আরাফাত সানির পরিবর্তে তাইজুল ইসলাম।