নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালী ও বগুড়ায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাবুল মেম্বারকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য।
সোমবার ভোরে চরমটুয়া ইউনিয়নের খালিসাতোলা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশ থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার দিবাগত গভীর রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা পুলিশের।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে এলাকার লোকজন কাজে বের হলে পথিমধ্যে চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লেদু মিয়া বাড়ির পাকা রাস্তার পাশে বাবুল মেম্বারের গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সামছুল হক নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গলাকেটে হত্যা করেছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত সামছুল হক রাঙ্গামাটি দিদার পাড়া গ্রামের মোজাহার আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, সামছুল হকের জামাই মাসুদ রানার ৬১ শতাংশ জমি নিয়ে তার শরিকদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সামছুল হক তার জামাইয়ের পক্ষ নিয়ে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করে আসছিলেন।
রোববার এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ তারেকের উপস্থিতিতে গ্রামে শালিস বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ আপোস মীমাংসা করা হয়।
রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সামছুল হক রাঙ্গামাটি বাজারে চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েককজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তাকে গলাকেটে হত্যার পর পালিয়ে যায়।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ তারেক জানান, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আপোস মীমাংসার পর বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি দলিল করার কথা ছিল। কিন্তু এর আগে সন্ত্রাসীরা সামছুল হককে হত্যা করে।
চেয়ারম্যানের ধারণা নিহতের জামাই মাসুদ রানার বিপক্ষের লোকজন সামছুল হককে খুন করেছে।
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, সামছুল হকের বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে রাস্তার পার্শ্বে ধানক্ষেতে লাশ পড়ে ছিল। নিহতের গলা কাটা ছাড়া ও বুকে ও পেটে তিনটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ণ রয়েছে।