ঢাকা: নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মক্তিযোদ্ধার সমন্বয় পরিষদ। পরে তিনি (নৌমন্ত্রী) দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে তার নেতৃত্বে কয়েক হাজার শ্রমিক সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাথা ও হাতে লালপট্টি বেঁধে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডের কার্যালয়ে প্রবেশ মুখে জড়ো হতে হন।
ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে তারা বিভিন্ন রকমের স্লোগান ও বক্তব্য দেন। পুলিশ সারিবদ্ধভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুই স্তরের ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এ কর্মসূচিকে ঘিরে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ সময় শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা আজ খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করতে এসেছি। কারণ ওনি ঘুমিয়ে থাকেন, আর ওনার লোকেরা সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। আমরা এর প্রতিবাদ করতে এসেছি।’
গুলশানকে কূটনৈতিক পাড়া উল্লেখ করে ওই এলাকা থেকে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় সরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন- ‘গুলশানে খালেদা ও তার ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে পাকিস্তানের চর আইএসআই এর সহযোগীতায় বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু আমরা তা সফল হতে দেব না।’
পরে তিনি দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে মিছিল। এতে মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও শ্রমিক-কর্মচারী সবাই অংশ নিবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি মতিঝিলের শাপলাচত্ত্বর থেকে পতাকা মিছিল।
শাজাহান খান ছাড়াও কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. হেলাল মোর্শেদ খান, শ্রমিক নেত্রী শিরিন আকতার, শ্রমিক নেতা এনায়েত করিম, শ্রমিক নেতা ওসমান আলী প্রমুখ।