প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী মেহেদী তার এক বান্ধবীকে নিয়ে ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় সহ-সভাপতি গ্রুপের কর্মী ফারুক সেখানে যেয়ে একটি বেঞ্চ নিতে চাইলে, মেহেদী বেঞ্চ দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে মেহেদীকে থাপ্পড় মারে ফারুক।
পরে মেহেদী ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে ডেকে রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইবলিসের মাঠে একত্রিত হয়। অন্য পাশে রাঞ্জুসহ তার কর্মীরা অবস্থান নেয়। এসময় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সভাপতি গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাকিম বিল্লাহ সহ-সভাপতি রাঞ্জুর পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়।
ঘণ্টা ব্যাপী উত্তেজনার এক পর্যায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে এসে রাঞ্জুর সাথে কথা বলতে চায়। এসময় উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে কোন মীমাংসা ছাড়াই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, আমার কর্মী ফারুকের সাথে ঝামেলা হওয়ায়, বিষয়টি মীমাংসা করতে গেলে আমার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয় বিল্লাহ।
বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘কর্মীদের মধ্যে ছোট একটি বিষয় নিয়ে ভূল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে তিনি অস্ত্র প্রদর্শনের কথা অস্বীকার করেন।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, বেঞ্চে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও অন্যান্য নেতাকর্মী এসে বিষয়টি মীমাংসার জন্য রাজশাহীর সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের বাসায় গেছে বলে জানান তিনি।