Home জাতীয় প্রতিকূল অবস্থায় মধ্যে আমরা চলছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিকূল অবস্থায় মধ্যে আমরা চলছি: প্রধানমন্ত্রী

416
0

hasina 11
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিকূল একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা চলছি। দেশের একটি রাজনৈতিক দল বা জোট যখন মানুষকে পুড়িয়ে-জ্বালিয়ে মারছে তখন ডা. সিরাজুল আকবরের মতো একজন রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন ছিল। দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে মঙ্গলবার সংসদ সদস্য মরহুম ডা. সিরাজুল আকবরের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে একজন প্রতিভাবান, সুদক্ষ শিশু বিশেষজ্ঞকে। আর আমরা হারিয়েছে একজন নিবেদিত প্রাণ জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যিই আজ একটি দুঃখজনক দিন। আমরা সহকর্মী সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। যিনি পেশায় একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।
ডা. সিরাজুল আকবরের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের পর তিনি চারবার মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের পর তৎকালীন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুতে মাগুরার ওই আসনটি শূন্য হলে উপনির্বাচনে ওই সময় ক্ষমতাসীন বিএনপি ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে আসনটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর ১৯৯৬’র ১২ জুন তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সিরাজুল আকবর ওই আসনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডা. সিরাজুল আকবর যেমন একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদ ছিলেন তেমনি ছিলেন প্রতিভাবান ও সুদক্ষ শিশু চিকিৎসক। তিনি গরীব, সাধারণ মানুষের শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। দু’বার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন অত্যন্ত সততার ও দক্ষতার সঙ্গে। এক সময় যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছিল, সেই রেড ক্রিসেন্টের ওপর তিনি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে এনেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি যেমন মাগুরার মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন, তেমনি ছিলেন দলের নেতা-কর্মীদের কাছেও। তিনি দীর্ঘদিন মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পর, গত ৮ মার্চ সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আইসিসি ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ যখন কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়েছে, সমগ্র জাতিক যখন আনন্দ আত্মহারা তখন এদেশের শিশুরা একজন চিকিৎসক ও নিবেদিত সেবককে হারিয়েছে। রাজনীতিবিদ হয়েও তিনি চিকিৎসক হিসেবে কখনও দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেননি। ঢাকার শিশু হাসপাতালের উন্নয়ন ও শিশুদের চিকিৎসার যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে ট্যাক্স ফ্রি করার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন।

Previous articleসরকারই অগণতান্ত্রিক শক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছে: ২০ দল
Next articleসারা দেশে বর্ধিত ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলছে