ঢাকা: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারন সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান এক বিবৃতিতে যশোরের ছাত্রদল নেতা মো. ইউসুফ ও মো. লিটনকে পুলিশ কর্তৃক নৃশংসভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রামে যখন থেকেই ছাত্রদল সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে তখন থেকেই অবৈধ সরকার এবং তার পেটোয়া বাহিনী পুলিশ অত্যন্ত নির্মম ও নৃশংসভাবে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদেরকে হত্যার মিশনে নেমেছে। ৫ই জানুয়ারীর পর থেকে ক্ষমতায় থাকা স্বৈরাচারী অবৈধ সরকারের হাতে এ পর্যন্ত আমাদের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত র্যা ব আর অবৈধ সরকারের চাপের মুখে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনী ছাত্রলীগের নির্দেশনায় তালিকা তৈরি করে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে হত্যা করছে। হত্যার পর অনেকের লাশ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকে মিডিয়াতে প্রচার করা হচ্ছে সন্ত্রাসী হিসেবে। এসব হত্যাকান্ডের কিছু গনমাধ্যমে আসলেও বেশীরভাগ থেকে যাচ্ছে অজানা।
তারা আরো বলেন, এসব হত্যাকান্ড দেখে মনে হচ্ছে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বারবার ফিরে ফিরে আসছে। তখন পাক বাহিনী আর তাদের দোসররা যেভাবে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অথবা যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানে হত্যা করেছে, একই কায়দায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী ছাত্রদল নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীনতার বহু বছর পর যেমন সেই হত্যার বিচার হচ্ছে তেমনিভাবে বর্তমানে ঘটা প্রতিটি নির্মম হত্যাকান্ডেরও বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। আর এসব হত্যাকান্ডের সাথে যারা সরাসরি জড়িত তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আশা করা যাচ্ছে সেই সময় আর দুরে নেই। খুব শীঘ্রই অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে ছাত্রদলের সকল শহীদদের মৃত্যুর সঠিক বিচার করা হবে।
প্রসঙ্গত, যশোরের মনিরামপুর থানার তাহেরপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা মো. ইউসুফ (২২) ও আরেক ছাত্রনেতা মো. লিটনকে (২১) ২রা ফেব্রুয়ারী নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাঘারীতলায় রাত ১১টায় নৃশংসভাবে হত্যা করে স্থানীয় পুলিশ।