ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীতে শোভাযাত্রা করেছে সংগঠনটি। এতে ছুটির দিনেও নগরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা ঘিরে শনিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ, কাকরাইল ও পল্টন ঘুরে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়। তবে ফেরার পথে রাজধানীর প্রায় সব এলাকার নেতাকর্মীরাই জড়ো হয়ে ফিরতে দেখা গেছে। এতে নগরীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়ায় বিকল্প হিসেবে আবাসিক এলাকার গলিপথে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো চলাচল করতে দেখা যায়। এতে প্রায় সব এলাকাতেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, এলিফ্যান্ট রোডে এই যানজট দেখা যায়, যা কয়েকটি স্থানে বিকাল পর্যন্ত ছিল। সড়ক আটকে সরকার সমর্থক সংগঠনটির এই শোভযাত্রা চলার সময় যান চলাচলের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি পুলিশকে।
এদিকে, ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ঘোষণা দেন, ‘অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জেলাপর্যায়ে অর্ধশতাধিক কাউন্সিল করেছি। বাকিগুলো অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে কেন্দ্রীয় সংসদের সম্মেলন করবো।’
সম্মেলন প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, ‘এটা বর্তমান কমিটির চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা। এটাই হবে বর্তমান কমিটির শেষ শোভাযাত্রা।’
সমাবেশে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করার কারণে তারেক রহমান ক্ষমা না চাইলে বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গাতেও সমাবেশ করতে পারবে না বিএনপি।’
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীর এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, লিয়াকত শিকদার, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ।