নিউজ ডেস্ক: ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে সোমবার ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম। সকাল ১১টায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন। কোচবিহারে বিএসএফ’র ১৮১ সেক্টর সদর দপ্তরে স্থাপিত সোনারী ছাউনিতে এ বিচারকাজ চলছে। রোববার বিকেল ৪টায় বুড়িমারী চেকপোষ্ট হয়ে ভারতে যান ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর হেমায়েতুল ইসলাম।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাটাতারের বেড়া পাড় হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী। এ হত্যাকাণ্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মানবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট বিএসএপের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়।
কিন্তু ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাদ দেয় আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফ’র দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনঃ বিচারের সীদ্ধান্তে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু করে বিএসএফ।