ঢাকা: কুমিল্লা ও যশোরে পৃথক ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্যে, শনিবার গভীররাতে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জোড়কানন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন স্বপন প্রকাশ ওরফে কালা স্বপন (৩৫)। আর যশোরে র্যালবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রাজু ওরফে ভাইপো রাজু (৩৩)।
কুমিল্লা পুলিশ জানায়, নিহত স্বপন কুমিল্লা মহানগীর ২২ নং ওয়ার্ডের উত্তর রামপুর পূর্বপাড়া গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। শনিবার গভীররাতে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশের ভাষ্যে, নিহত স্বপন প্রকাশ যুবলীগ নেতা মোস্তাক হত্যা মামলাসহ ২৮টি মামলার আসামি এবং এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিআইও-১) মাহবুবুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গভীররাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে স্বপন নিহত হন। রাতেই পুলিশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে তার মরদেহ দিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে বলেও জানান মাহবুবুর রহমান।
যশোর সদর থানার পুলিশ জানিয়েছে, রযা বের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে শনিবার মধ্যরাতে রাজু ওরফে ভাইপো রাজু নিহত হন। রবিবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রাজু জেলা শহরের গাড়ীখানা রোড এলাকার আজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি হত্যাসহ পাঁচ মামলার আসামি বলে দাবি করেছে র্যাশব।
র্যা ব-৬ (যশোর) ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আশরাফ উদ্দিন বলেন, শনিবার রাত নয়টার দিকে গাড়িখানা এলাকা থেকে রাজুকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভোরে র্যাপব সদস্যরা অস্ত্র উদ্ধারে যায়।
র্যা ব সদস্যরা শহরের মুড়লি-বাস টার্মিনাল সড়কের কাজিপুর রেলক্রসিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার সামনে পৌঁছুলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা র্যাসবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যা বও পাল্টা গুলি চালায়।
এক পর্যায়ে রাজু গুলিবিদ্ধ হন ও অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ভোরে র্যা্ব সদস্যরা গুলিবিদ্ধ রাজুকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎস্যক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি রিভলবার, দেশি শ্যুটারগান, তিন রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা, ২৫টি চকলেট বোমা, দুই বোতল মদ, চার বোতল ফেন্সিডিল ও পাঁচ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে র্যাদব।
এর আগে শুক্রবার ভোরে যশোর-খুলনা মহাসড়কের রামনগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কতিথ বন্দুকযুদ্ধে এক জামায়াতকর্মী নিহত হন। নিহতের পরিবারের দাবি, আটকের পর তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
