বাকৃবি: সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছে সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ডায়েরিতে রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তাদের পরিচয়ের ক্রম পরিবর্তন করে মাঝের দিকে দেওয়ায় ছাত্রউপদেষ্টার অফিস ভাঙচুর এবং নতুন ওই ডায়েরি পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা। ডায়েরিতে পূর্বের ক্রমধারা বহাল রাখতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের ৩০৪তম বৈঠকে বেতন কাঠামো নিয়ে জারিকৃত সকল প্রকার বিজ্ঞপ্তি ও প্রশাসনিক আদেশনামা একটি ফিন্যান্স কমিটি গঠনের মাধ্যমে বাতিল করা হয়।
ওই কমিটির সদস্য সচিব পদে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখা-১ এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. বজলুর রহমান। সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করায় মো. বজলুর বেতন কাঠামোগত সকল সুবিধা পেলেও অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাকে লাঞ্ছিত করেন।
বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা এডিশনাল রেজিস্ট্রার মো. ইউছুব আলী মন্ডলের কক্ষ বন্ধ পেয়ে তার দরজায়ও লাথি মারেন।
বাতিলকৃত ওই আদেশনামায় রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর থাকলেও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত কোনো কমিটি বাতিল করতে পারে না বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবদুল খালেক।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ডায়েরিতে রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তাদের পরিচয়ের ক্রম পরিবর্তন করে বিভিন্ন অনুষদে কর্মরত শিক্ষকদের নাম আগে দেওয়ায় ছাত্র উপদেষ্টার অফিসে ভাঙচুর করেছেন কর্মকর্তারা।
এ সময় তারা ওই অফিসের সামনে নতুন ওই ডায়েরির কয়েকটি কপি পোড়ায় এবং ডায়েরির ক্রম পুনর্বহালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেয়।
এ বিষয়ে ফিন্যান্স কমিটির সভাপতি ও ছাত্রউপদেষ্টা বিষয়ক অধ্যাপক ড. জহিরুল হক খন্দকার জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিল নয়। বরং পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
ডায়েরির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে এবং ডায়েরি বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে ক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। বাস্তবায়ন কমিটিতে রেজিস্ট্রারসহ চারজন কর্মকর্তাও ছিলেন।