বাড়ি ভাড়ায় ইমিগ্রেশন চেক : পাইলট প্রকল্প ব্যর্থ

0
505

hhhhhhhhhhhhhhhhh-300x147আবদাল হোসেন লন্ডন থেকে: বাড়ি ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার ইমিগ্রেশন চেকের যে ব্যবস্থা চালু করেছিলো, তা ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। গত বছর ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের পাঁচটি কাউন্সিলে পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু করা ওই নিয়মের মূল্যায়ন করে সরকারী এক প্রতিবেদেনেই বলা হয়েছে যে, এই প্রকল্প কার্যত বর্থ্য হয়েছে।
ব্রিটেনে অবৈধ ইমিগ্রেন্টদের বাসাভাড়া নেয়া ঠেকাতে সরকার বাড়িভাড়া দেয়ার সময় ভাড়াটিয়ার ব্রিটেনে থাকার বৈধ কাগজ-পত্র আছে কি-না তা যাচাই বাধ্যতামূলক করে। পরীক্ষামূলকভাবে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের পাঁচটি কাউন্সিলে গত বছর চালু করা এই নিয়মে বলা হয়েছে, কোনো ভাড়াটিয়ার বৈধতা চেক না করে বাসাভাড়া দিয়ে ধরা পড়লে বাড়ির মালিক সর্বোচ্চ তিন হাজার পাউন্ডের জরিমানার শিকার হবেন। নিয়মটি চলতি বছরের শেষের দিকে সারাদেশে চালু করার কথা রয়েছে।
দীর্ঘ নয়মাস চালু থাকা এই পাইলট প্রকল্পের মূল্যায়ন করে দেখা গেছে, এই সময়ে মাত্র সাতজন বাড়ির মালিককে নিয়ম ভঙ্গের দায়ে জরিমানার নোটিশ দেয়া হয়েছে। গড়ে এদেরকে ৮শ পাউন্ড করে জরিমানা করা হয়েছে। সরকারের নিজস্ব মূল্যায়নেই এই ব্যবস্থাকে অকার্যকর বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইনের অধীকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে সম্প্রতি প্রকাশ করেছে দি ইকোনোমিস্ট।
এই প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক দেখা দেয়। সমালোচকরা বলেন যে, সরকার অবৈধ ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বাড়ির মালিকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আবার এই নিয়মের ঝামেলা এড়াতে বাড়ির মালিকরা অশেতাঙ্গ কাউকে বাসাভাড়া দিতে অনীহা প্রকাশ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বৈধ ইমিগ্রেন্টরা বাসাভাড়া নিতে গিয়ে বিপাকে পড়বেন। এতসব সমালোচনা উপেক্ষা করে সরকার চলতি মাসের শুরুর দিকে বাড়িভাড়া আইনে (রাইট টু রেন্ট) আরো কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দেয়। যাতে বলা হয় যে, কোনো ইমিগ্রেন্ট ব্রিটেনে বসবাসের অদিকার হারানো মাত্রই তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। এই নিয়ম মানতে ব্যর্থ হলে বাড়ির মালিক সর্বোচ্চ তিন হাজার পাউন্ড জরিমানা বা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত জেলদণ্ডের শিকার হবেন।
ইকোনোমিস্টের খবরে পাইলট প্রকল্ডের মূল্যায়ন নিয়ে আরো বলা হয়, একটি চ্যারিটি সংস্থার অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, মাত্র ৫০ শতাংশের মত বাড়ির মালিক বা স্টেইট এজেন্ট বাসাভাড়া নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির ব্রিটেনে থাকার বৈধতা যাচাই করছেন। অপর একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নতুন নিয়মের ফলে বৈধ ইমিগ্রেন্টরা বাসাভাড়া নিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। মাইস্টারি শপার (মান যাচাইয়ে ছদ্দবেশে শপিং করা) এর আদলে চালানো ওই অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একজন বৈধ ইমিগ্রেন্ট ২৭টি ক্ষেত্রে বাড়াভাড়া নিতে গিয়ে ১১ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।