Home Uncategorized বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে রাতভর ধর্ষণ

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে রাতভর ধর্ষণ

415
0

Dhorson 05
ডেস্ক রিপোর্ট: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রেমিকাকে পরিত্যাক্ত একটি বাড়িতে রাতভর ধর্ষণ করেছে প্রেমিক বাদশা মিঞা (২০)। শুধু তাই নয় কিশোরী ওই প্রেমিকার ওপর চালানো হয়েছে নির্মম নির্যাতন। কোন রকম প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসে সে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে। প্রথম দিকে উভয়ের বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চললেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় লম্পট বাদশা মিঞা পালিয়ে গেলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আর এ ঘটনায় কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে রবিবার রাতে বাদশা মিঞাকে প্রধান আসামী করে তার অপর এক সহযোগী সোহেলের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীরর সঙ্গে এক বছর আগে একই উপজেলার পৌর এলাকার কুতুবপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে বাদশা মিঞার প্রেমের সম্পর্ক হয়। মোবাইলে কথোপকথন ও নিয়মিত দেখা সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে তাদের প্রেম-ভালোবাসা। পরে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবহিকতায় শুক্রবার রাতে প্রেমিক বাদশা মিঞা বিয়ের কথা বলে প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় জিগাতলা গ্রামের হাফিজুর মন্ডলের ছেলে সোহেল মিঞার সহযোগীতায় ওই গ্রামের মনোয়ারার পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সোহেলের সহযোগীতায় বাদশা মিঞা কিশোরী প্রেমিকাকে রাতভর ধর্ষণ করে এবং নির্যাতন চালায়। কোনরকম সুযোগ পেয়ে শনিবার ভোর ৫ টার দিকে ওই কিশোরী প্রাণ রক্ষার্থে পালিয়ে প্রথমে বাগবাড়ি গ্রামের লতিফ ওরফে ইতালি লতিফের বাড়ি ও পরে লাল মিঞার বাড়ি আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় আত্মীয় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলালের মধ্যস্থতায় রবিবার উভয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রবিবার সকালেই বাদশা মিঞা ও তার পরিবারের লোকজন এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করতে গেলে থানায় ঢোকার আগেই ধর্ষকের পরিবার তার লোকজন দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের এলাকা থেকে দূরে আটকে রাখে। বিষয়টির খবর পেয়ে আটক রাখার দুই ঘন্টা পর ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হারেচ আলী মিঞা মেয়ে ও তার মা-বাবাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে রবিবার রাতে বাদশা মিঞাকে প্রধান আসামী করে তার অপর সহযোগী সোহেলর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তবে পুলিশ এখনো ধর্ষক বাদশা মিঞা ও তার সহযোগী সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হারেচ আলী মিঞা বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষক বাদশা মিঞা ও তার সহযোগী সোহেলকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।

Previous articleফেলানী হত্যার পুনঃ বিচার শুরু
Next articleমানবাধিকার নিশ্চিতে প্রয়োজন মানবিক উন্নয়ন: স্পিকার