বৃহস্পতিবার, রবিবার ও সোমবার জামায়াতের হরতাল

0
540

hartal 03ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড রায়ের প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এবং পরের সপ্তাহে রবি ও সোমবার এই হরতাল পালন করবে। মাঝখানে শুক্রবার রায়ের প্রতিবাদ ও সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া এবং শনিবার গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত।
রায়ের পর বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তারা অভিযোগ করেন, ‘মিথ্যা মামলায় তথাকথিত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সরকার নিজামীকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও কাল্পনিক। এর প্রমাণ তার জন্মস্থান পাবনার একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ তিনজন বিশিষ্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সঙ্গে তার দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত, হতবাক ও গভীরভাবে মর্মাহত। এ রায়ে মাওলানা নিজামী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলেও দাবি করেন জামায়াতের শীর্ষ এই দুই নেতা।
তারা বলেন, ‘দেশবাসী এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে মাওলানা নিজামী উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। উচ্চ আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করলে মাওলানা নিজামী অবশ্যই বেকসুর খালাস পাবেন বলে আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি।’
জামায়াতের অভিযোগ, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। শুরু থেকেই সরকার এই বিচার কার্যক্রমকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করে আসছে। বিচার কার্যক্রমে তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশকে এক ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন।