ঢাকা: দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। আমরা তার এ বক্তব্যকে সাদুবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিপন বলেন, ‘আপনাকে (শেখ হাসিনা) খুব বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে না। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা দিন।’
তিনি সংকট নিরসনে বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আবারো আহ্বান জানান।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরাজয় ঘটবে না। তার এই ত্যাগের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই। বিরোধী দলও সংসদের নির্বাচিত নয়। মেকি সংসদ নিয়ে বেশিদিন চলা যায় না।’
রিপন বলেন, ‘সরকারের নৈতিক কর্তৃত্ব না থাকায় সারাদেশে খুনোখুনির পরিস্থিতি চলছে। আশাকরি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি অনুধাবন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানে পদক্ষেপ নিবেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা অন্তঃকোন্দলের কারণে খুন হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজন।’
চাঁদপুরের কচুয়ায় শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর যুবলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা কোনো সভ্য দেশে ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। আগে চাঁদাবাজি হতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন সেক্টরে। কিন্তু এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও চাঁদাবাজিতে নেমেছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। এসবের প্রতিবাদের জন্য শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার পরিস্থিতিও দেশে নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম আবদুল হালিম, এমএ কাইয়ুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি প্রমুখ।