Home রাজনীতি বড় বাজেটে বড় দুর্নীতি করার মাধ্যম: ব্যারিস্টার মওদুদ

বড় বাজেটে বড় দুর্নীতি করার মাধ্যম: ব্যারিস্টার মওদুদ

506
0

ঢাকা: জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটকে বড় বেলুন আখ্যায়িত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এটি হচ্ছে বড় বাজেটে বড় দুর্নীতি করার মাধ্যম। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যাংকের আমানতের ওপর কর আরোপ করে সরকার একটি দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর এমনিতেই কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এখন দেশের মানুষ এই আমানতের ওপর অতিরিক্ত কর বসানোর কারণে ব্যাংকে আর টাকা জমা রাখবে না। এতে বুঝা যাচ্ছে সরকারই চায় না যে, দেশের মানুষ ব্যাংকে টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখুক। সরকারেই বিদেশে টাকা পাচার করার জন্যস এ ব্যবস্থা করেছেন। এর চাইতে বড় আত্মঘাতী প্রস্তাব আর কিছুই হতে পারে না।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এ বাজেটে উন্নয়ন খাতের চেয়ে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় প্রায় দেড়গুণ বেশি ধরা হয়েছে। যা কখনও জনগণের বাজেট হতে পারে না। এ বাজেটে বিশাল ঘাটতি রয়েছে।
মওদুদ বলেন, ঘোষিত বাজেট দেখতে চমকপ্রদ মনে হয়, মনে হয় একটি সুন্দর বেলুন। কিন্তু এর ভেতরে সাধারণ মানুষ তথা নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই নেই। এ বাজেটে সরকার জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, একটি অনির্বাচিত সরকারের এই ধরনের বাজেট দেয়ার কোনো নৈতিক অধিকার আছে কিনা সেটাই একটি বিরাট প্রশ্ন।
মওদুদ বলেন, এ বাজেটের সবচাইতে বড় দুর্বলতা হল যে দুর্নীতি দমন করার কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। বড় বড় প্রকল্পের জন্য বড় বড় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বড় প্রকল্প মানে হল বড় অংকের ঘুষ এবং দুর্নীতি। সরকারি ব্যাংকগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে যে দেউলিয়া করেছে সে বিষয়ে কোনো কথা নাই ঘোষিত বাজেটে। শেয়ার কেলেংকারি, হলমার্ক দুর্নীতি এবং ডেসটিনির দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো কিছু উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন, এই বাজেটের অধীনে দুর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ থেকে নেয়া করের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অপচয় হবে, যার হিসাব নেয়ার কোনো ব্যবস্থা নাই।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

Previous articleগুম হওয়া সন্তানের মায়ের কান্না প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছায় না
Next articleকারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব: শিক্ষামন্ত্রী