চট্টগ্রাম: ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, সেই নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান। গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন শাহ শফীর প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ।
হেফাজত আমির বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের ওপর অব্যাহত হামলা-গ্রেপ্তারের ঘটনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে এখন পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের দাবি মেনে না নেওয়ায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে কর্মীরা আতঙ্কিত। এজন্য বিরোধী দলের অনেক প্রার্থী এখনো সব কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ দিতে পারছেন না। সরকারি দলের কর্মীদের সহিংস তৎপরতার কারণে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও গোলযোগের আশঙ্কায় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রশ্নে অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতার ওপর মানুষ আস্থা হারালে সুশাসন, সুবিচার ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা কখনোই নিশ্চিত করা যায় না।
বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, নির্বাচনের দিন জনগণের অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগের শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে অনেকের মধ্যেই যেহেতু সংশয় ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং প্রর্থীদের অনেকেই মাঠ পর্যায়ে সেনা মোতায়েনের দাবি করছেন। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে রাজি না হওয়ার যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ সেনাবাহিনীর প্রতি গভীর আস্থাশীল। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কর্মদক্ষতা ও শান্তিপ্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার সুনাম বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমি আহ্বান জানাব, একটি স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ এবং সব দলের কাছেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনী নিয়োগ করুন।
শাহ শফী বলেন, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে সুযোগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও সরকারের। সরকারকে এটা মনে রাখতে হবে, দেশের বিদ্যমান গোলযোগপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আহ্বান জানান, সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনকে নিরুৎসাহিত না করে বরং কেউ যাতে নির্বাচনী পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে লক্ষে সরকার যেন কার্যকর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়।