ঢাকা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে কেন একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। টাস্কফোর্সটি কেন স্থায়ী হবে না সেটিও জানতে চেয়েছেন আদালত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌন নিপীড়নের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটার বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি রিট আবেদন করেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী। সে রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে আদালত এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১০ মে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওয়ে গিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন। সেদিন ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই সময় এক নারী কর্মীকে পুলিশ চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে দেয়ার চিত্রও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।
ওই ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ইতোমধ্যে তা জানাতে পুলিশকে আদেশ দিয়েছে।