ঢাকা: রাজধানীতে এবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু এক ছাত্রী (১৮)। শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌচাকের অদূরে কোনো একটি আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীর পরিচিত যুবক শাওন তাকে ডেকে হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে শাওন ও তার বন্ধু নিলয় তাকে ধর্ষণ করে। হোটেলটির নাম বা ঠিকানা জানাতে পারেননি ধর্ষণের শিকার ছাত্রী। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেছেন। তবে দুই ধর্ষককে শনিবার পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার ও সোমবার মোহাম্মদপুরে দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জানান, তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী এলাকায়। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে তিনি চলতি বছর এইচএসসি পাস করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করার জন্য তিনি দুই মাস আগে ঢাকায় আসেন। মৌচাক এলাকার একটি মেসে থেকে কোচিং ক্লাস করছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ির এলাকার যুবক শাওন তেজগাঁও কলেজে পড়ে। সে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর প্রক্রিয়ার সঙ্গেও জড়িত।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত নোট দেওয়ার কথা বলে শাওন ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মৌচাক এলাকায় তাদের দেখা হয়। এর পর একটি রিকশায় করে তারা কিছু দূরের এক আবাসিক হোটেলে যায়। ছাত্রীটি এলাকা চিনতে পারেননি, হোটেলের নামও লক্ষ্য করেননি। সেখানকার একটি কক্ষে তাকে নিয়ে যাওয়ার পর শাওনের বন্ধু নিলয় এসে যোগ দেয়। এর পর দু’জনে মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। তারা ছেড়ে দিলে রাত ৮টার দিকে তিনি মেসে ফেরেন। পরে বিষয়টি জানার পর গতকাল তার বাবা-মা ঢাকায় আসেন। প্রথমে তারা মৌখিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করতে বেরিয়েছিল পুলিশ। তবে তিনি হোটেলটি চিনতে পারেননি। নির্যাতিত মেয়েটির বর্ণনা অনুযায়ী লিফট আছে এমন কোনো হোটেল রমনা থানা এলাকায় নেই। তার পরও ধর্ষণের শিকার ছাত্রী রমনা এলাকায় থাকেন বলে মামলাটি নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত এক যুবকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অন্যজনের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের দু’জনকেই গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।