জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে না। বুধবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ম্যানডেট অনুযায়ী, মিয়ানমারসহ ৯ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে ব্যাশেলেট এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসরত ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার নিজ দেশে স্বেচ্ছায়, সম্মানের সঙ্গে ও নিরাপদে প্রত্যাবাসনের যথাযথ কোনো পরিবেশ নেই।
পাশাপাশি ২০১২ সালে সহিংস ঘটনার পর থেকে প্রায় এক লাখ ৩০ লাখ উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা কেন্দ্রীয় রাখাইন শিবিরে বসবাস করছেন।
তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি যথাযথভাবে চিহ্নিত করার জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি।
ব্যাশেলেট বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি নেই। যে কারণে তারা তাদের মতামত পেশ করতে পারছে না।
জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান জানান, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা গুরুতরভাবে হরণ করা হচ্ছে। তাদের চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বৈষম্য ও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর করা ওই প্রতিবেদনটিতে মানবাধিকারের পাঁচটি প্রধান বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে- নাগরিকত্ব, জনজীবন অংশগ্রহণ, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা, স্থানচ্যুতি ও প্রত্যাবাসনের অধিকার এবং জবাবদিহিতা।