ডেস্ক রিপোর্ট: রাজশাহীতে নূরুল ইসলাম শাহীন (৫০) নামে এক জামায়াত নেতা খুন হয়েছেন। বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পেয়েছেন স্বজনরা। নিহত নূরুল ইসলাম শাহীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার ইসলামিয়া কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তার বাড়িও ওই এলাকায়।
এছাড়া তিনি রাজশাহী মহানগর জামায়াতের রুকন ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (পূর্ব) শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। নগরীর মালোপাড়া এলাকায় তার মালিকানাধীন পদ্মা অফসেট নামের একটি প্রেসও রয়েছে। শিক্ষকতার পাশপাশি প্রেস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই জামায়াত নেতা।
রামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বদিউজ্জামান জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি মাথায় ও বুকে গুলিবিদ্ধ ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বর্তমানে ওই জামায়াত নেতার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধ ওই জামায়াত নেতাকে কারা হাসপাতালে নিয়েছে তা জানাতে রাজি হননি এসআই বদিউজ্জামান।
এদিকে, নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে পদ্মা অফসেট থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মধ্যরাত পর্যন্ত ডিবি তাদের হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিতও করেছে। পরে সকালে হাসপাতালে তার লাশ পাওয়া গেছে। ডিবি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
তবে তিনি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ও নগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে নিয়ে অভিযানে নগরীর নলখোলা আশরাফের মোড় এলাকায় অভিযানে গেলে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে ডিবি পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে এক পর্যায়ে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন নূরুল ইসলাম। পরে ওই এলাকা থেকে কয়েকটি ককটেল, গুলি ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
দুপুর ১২টার পর মহানগর পুলিশ সদর দফতরে কমিশনার মো. শামসুদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।