Home জাতীয় রাজাকারকে ভাতা প্রদান মুক্তিযোদ্ধার ভাতা আত্মসাৎ

রাজাকারকে ভাতা প্রদান মুক্তিযোদ্ধার ভাতা আত্মসাৎ

422
0

Map Jinaidah
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: হরিণাকুন্ডু মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দীন মাষ্টার ও ডেপুটি কমান্ডার ছামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বিতরণে দুর্নীতি ও অর্থের বিনিময়ে রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ভাতা দেওয়াসহ নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে। রোববার হরিণাকুন্ডু এলাকার সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাঠ করেন সাবেক জেলা ডেপুটি কমান্ডার রেজাউল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় হরিণাকুন্ডু মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দীন মাষ্টার ও ডেপুটি কমান্ডার ছামসুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারী ভাবে বরাদ্দ হাট ইজারার চার পার্সেন্ট হিসেবে আশি হাজার টাকা দুস্থদের না দিয়ে সচ্ছল ও ধনাঢ্যদের মাঝে বন্টন করেন। শরিফুল ইসলাম নামে এক মুক্তিযোদ্ধা রংপুর থেকে নিয়মিত সরকারী ভাতা উত্তোলন করলেও হরিণাকুন্ডু মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দীন মাষ্টার শরিফুল ইসলামের ভাতার ৯৩ নং বই বাতিল না করে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়মিত টাকা তুলে আত্মসাৎ করছেন। অভিযোগ করা হয় রইচ উদ্দীন খলিফা নামে এক ব্যক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পিচ কমিটির সদস্য হিসেবে রাজাকারদের সহায়তা করেন। সেই রাজাকার অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত ভাতা তুলে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম সরকারী গেজেট, অতিরিক্ত গেজেট, বিশেষ গেজেট ও লাল মুক্তি বার্তায় না থাকলেও টাকার বিনিময়ে ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। অভিযোগে বলা হয় মহিউদ্দীন মাষ্টার সাংগঠনিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ভুয়া কমান্ডার শহিদুরের নেতৃত্বে ৬২ জনকে মুক্তিযোদ্ধা করেন। যার মধ্যে রাজাকার ও পিচ কমিটির সদস্য রয়েছেন। এছাড়া কোন মুক্তিযোদ্ধার পঞ্চাশ শতক জমির বেশি থাকলে সরকারী বাড়ি নির্মানের সুবিধা পাবেন না বলে সরকারী নিয়ম থাকলেও মহিউদ্দীন মাষ্টার ঘুষের বিনিময়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলার বেড় বিন্নি গ্রামের তাহাজ উদ্দীন মুন্সির নাম বাড়ি নির্মানের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন। তাহাজ উদ্দীনের মাঠে তিন বিঘা জমি আছে বলে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন। কমান্ডার মহিউদ্দীন মাষ্টার নাম গেজেটে ওঠা নিয়ে আদালতে মামলা থাকা ও আটজন জীবিত যুদ্ধকালীন কমান্ডার বাদ দিয়ে দুইজন ভূয়া কমান্ডারসহ চার জনের নাম উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করেছেন স্বার্থ হাসিলের জন্য। এ সব অপকর্ম করার দায়ে ২০১১ সালের ৩ আগষ্ট জেলা ও কেন্দ্র কমান্ড মহিউদ্দীন মাষ্টারকে বহিস্কার করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধারে মাঝে পঞ্চাশ হাজার টাকা বন্টনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকৃত দুস্থদের বাদ দিয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি ইবাদত হোসেন, মোয়াজ্জেম, আবু তৈয়ব, মহিউদ্দীন, মোহাম্মদ আলী, মোশাররফ হোসেন, আব্দুস সাত্তার মন্টু, আয়ূব হোসেন, তারিক ইমাম, মিজানুর রহমান মন্টু, জহুরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ডেপুটি কমান্ডার ছামসুল ও কমান্ডার মহিউদ্দীন নিজে পঞ্চাশ হাজার টাকা ভাগ করে নেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল গণি, হাফিজ উদ্দীন, আফজাল হোসেন ও মতিয়ার রহমানসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ পত্রে হরিণাকুন্ডু এলাকার ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষর করেন।

Previous article৪ ইসলামী ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা আসছে
Next articleএবার লড়াইয়ের মাঠে থাকব আমি: খালেদা জিয়া