জগন্নাথপুর সংবাদ দাতা: সুনামগঞ্জ জেলায় জগন্নাথপুর উপজেলায় রানীগঞ্জ বাজার। প্রাচীন কাল থেকে বাজারের সুনাম ছিল জেলা জুড়ে এখন আর সেই দিন নাই, এখন রানীগঞ্জ বাজার হল ময়লা আর্বজনা ভরা পানিতে ভরপুর রানীগঞ্জ। আর কত দিন রিপোর্ট লেখতে হবে বাজার নিয়ে আমাদের দায়িত্বশীল সমাজ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বাজার কমিটির কি কোন উদ্যোগ নিবেন না বাজার উন্নয়নে? কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে ছবি তুলে ক্যাপশন করে, সাধারন মানুষ তাহাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন অনুদান সহ বিশ্ব ব্যাংক এর কথা সামনে আসছে, বিগত কয়েক মাস আগে অনুষ্টান করে বাজার উন্নয়নের বাজেট করা হয় এ কাজ কি আর হবেনা? বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়িদের সাথে আলাপ করে জানা যায় বাজার নিয়ে তাদের বক্তব্য হল যে বাজারে পুজি কাটিয়ে ব্যবসা হয় না সে বাজারে ব্যবসা করে লাভ কি? বাজারের অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। সকলে বলেন আর কত দিন আমাদের এভাবে চলবে! বাজারটিতে নানাবিধ সমস্যা বিরাজ করছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাসবিন, পাবলিক টয়লেট, নিরাপদ পানির ব্যবস্থা না থাকার কারণে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজারটির সুনাম হারাতে বসেছে। বর্তমানে বাজারটিতে সামান্য বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর ২-৪টি স্থানে ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। স্থানগুলো হচ্ছে- কাছা মাল হাটা থেকে ভিতর বাজার জনতা ব্যাংক থেকে বাদল টেলিকমের সামন তাহির প্লাজার পাশে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বাজারের বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন গর্ত থাকায় পানি জমে কাদায় পরিপূর্ণ হয়েছে। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা, পথচারীসহ স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও এ বাজারটিতে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ গড়ে উঠায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গত কয়েক ধরে থেমে থেমে আসা বৃষ্টিতে এ বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ স্থানগুলো দীর্ঘদিন থেকে খাদ হয়ে পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষের তেমন কোন গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা না থাকায় বর্তমানে সামান্য বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে যানবাহনসহ জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।জরুরি মেরামতসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাজারের ব্যবসায়ীগন ও সচেতন মহল, বাজার পরিচালনা কমিটি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও বিহিতাদেশ কামনা করছি।