যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি: জগন্নাথপুরের কৃতিসন্তান লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস্ এর স্পিকার এবং ফাষ্ট সিটিজেন আব্দুল মুকিত চুনু এমবিই এক সফরে বাংলাদেশ আসছেন। ৬ই ডিসেম্বর লন্ডন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের (বিজি০০৬) একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌছবেন। বাংলাদেশের তার এই সফর কালে দেশের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। জনাব আব্দুল মুকিত চুনু টাওয়ার হ্যামলেট এর বাসিন্দা বিলেতের বাঙালী কমিউনিটিতে এক পরিচিত মুখ। রানী ২য় এলিজাবেত ২০০০ সালে একমাত্র বাংলাদেশীকে কুইন্স আ্যওয়ার্ড দিয়েছিলেন তিনি আজকের স্পিকার ও ফাষ্ট সিটিজেন লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলার আব্দুল মুকিত চুনু এমবিই। একই সাথে ২০০১ সালে কাউন্সিলার আব্দুল মুকিত চুনু হাউস অব লর্ডসের ব্রিটিশ মুসলিম অনারারি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের হবিবপুর গ্রামের সন্তান আব্দুল মুকিত চুনু ১২ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে আসেন ১৯৬৮ সালে পারিবারিক সূত্রে। বৃটেনের স্থানীয় সেকেন্ডারী স্কুলে পড়াশুনা করেন তারপর সিটি অব ইষ্ট লন্ডন কলেজ থেকে “অ”লেভেল শেষে বিশ্বের সুনামধন্য গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়ুথ এন্ড কমিউনিটি ডেভোলাপমেন্ট বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করেন।তিনি স্থানীয় সরকারের এডুকেশন বিভাগে একানাগাড়ে ১৯ বছর চাকুরী করেন। ৪৩ বছর থেকে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস্ বারায় বাসিন্দা আব্দুল মুকিত চুনু বৃটেনের লেবার পার্টির সাথে জড়িত ৩৫ বছর ধরে। বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের এই মানুষটি ২০১০ সালে স্থানীয় নির্ব্বাচনে লেবার দল থেকে লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটের উইভার্স ওয়ার্ড থেকে প্রথম কাউন্সিলার নির্ব্বচিত হন। গত ২২মে স্থানীয় নির্ব্বাচনে পূনরায় লেবার পার্টির কাউন্সিলার নির্ব্বাচিত হলে টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিলের “এজিএম”এ তাকে স্পিকার নির্ব্বাচিত করা হয়। এর আগের টার্মে তিনি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার।বিলেতের বাঙালী কমিউনিটেত আব্দুল মুকিত চুনু এক পরিচিত নাম।কমিউনিটির সকল স্থরের মানুষের সাথে রয়েছে তার সম্পর্ক। রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং কমিউনিটির স্বার্থ আদায়ে তার রয়েছে প্রবল অনুরাগ।অসংখ্য যুব উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড তার অর্জিত সাফল্যের মধ্যে অন্যতম।তার উন্নয়ন মুলক কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-সিলেট ফ্রেন্ডস্ সোসাইটি, বাংলাদেশ স্পোটস্ এসোসিয়েশন,প্রোগ্রেসিভ ইয়ুথ অর্গেনাইজেশন,বাউন্ডারী কমিউনিটি স্কুল,উইভার্স কমিউনিটি ট্রাষ্ট সহ আরো অনেকগুলি অভিবাবক ও কমিউনিটি ফোরাম। টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের হিউম্যান রিসোর্স কমিটির চেয়ার এবং হেলথ স্ক্রুটিনি কমিটির সদস্য হিসাবে তিনি সুষ্ঠ পরিচালনার অগ্রগতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
স্পিটালফিল্ড্ মার্কেট ট্রাষ্টেরএকজন ট্রাষ্টি এবং তার হাত ধরেই স্পিটালফিল্ড স্মল বিজনেস এসোসিয়েশন নামে প্রথম কমিউনিটি রিজেনারেশন প্রজেক্ট গড়ে উঠেছে। স্প্রিটালফিল্ড হাউজিং এসোসিয়েশনের প্রতিষ্টাতা সদস্য আব্দুল মুকিত চুনু সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন প্রায় দীর্ঘ ৯ বছর, ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত এই এসোসিয়েশনের সাথে তিনি জড়িত, তাছাড়া টাওয়ার হ্যামলেটস্ ডেভোলাপমেন্ট ট্রাষ্টের সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি যুক্তরাজ্যে অবস্থান কালে যখন সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল মুকিত চুনু ছিলেন সহ সভাপতির দায়িত্বে। বর্তমানে তিনি সেন্ট ম্যাথেয়াস্ প্রাইমারী স্কুলের গভর্ণর, টাওয়ার হ্যামলেটস্ এর স্পিকার এবং ফাষ্ট সিটিজেন কাউন্সিলার।