ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, লেক দখলের দিন শেষ। পর্যায়ক্রমে অবৈধভাবে দখল হওয়া লেকগুলো উদ্ধার করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানের হোটেল লেকশোরে সিসিটিভি সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা স্থাপনের প্রথমপর্বের কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আজ আমার প্রথম বোর্ড মিটিংয়ের দিন। আমার স্ত্রী বিদেশে রয়েছে। তিনি আজ ভোরে আমাকে ফোন করে বলেন, তোমার মনে আছে তো আমি তোমার জন্য মানুষের ঘরে গিয়ে গিয়ে বলেছি আমার স্বামী ভালো মানুষ তাকে ভোট দেবেন। ওই কথাগুলো যেন তোমার মনে থাকে। মেয়র বলেন একজন মেয়রের একার পক্ষে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। যদি জনগণ তাকে সহযোগিতা না করেন। আমাকে একটু গোছাতে দুই থেকে তিন মাস সময় দিন। আশা করছি আপনাদেরকে আগের থেকে ভালো একটি শহর দিতে পারব। আগামি দুই বছরের মধ্যে একটু বেশি স্বস্তি একটু বেশি নিরাপত্তা দিতে পারব।
গুলশান এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো সংহত ও দৃঢ়করণের জন্য বর্তমান ব্যবস্থার আধুনিককরণের জন্য বিশিষ্টজনদের পরামর্শক্রমে গুলশান থানা আইনশৃঙ্খলা সহায়ক কমিটি গুলশান, বারিধারা, নিকেতন ও গুলশান ইয়ুথ ক্লাব এলাকায় সিসিটিভি সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা স্থাপনের প্রথম পর্বের কাজ সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে।
এ সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের মহা-পরিদশক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। রাষ্ট্রের যেমনি নাগরিকদের নিরাপত্তার দেওয়ার বিধান রয়েছে, তেমনি নাগরিকদেরও রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব রয়েছে। নাগরিকদের দায়িত্ব কেবল আইনে নয় বরং সকল ধর্মেও রয়েছে। ২০০০ সালে আমি তখন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ছিলাম। ওই সময়ে আমি লন্ডনে গিয়েছিলাম। সেন্ট্রাল লন্ডনে প্রায় পাঁচ হাজার সিকিউরিটি কোম্পানী রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। মেয়র আনিসুল হককে উদ্দেশ্য করে আইজিপি বলেন, আপনি আগে ছিলেন বিজনেস লিডার এখন হয়েছেন পাবলিক লিডার। আপনার দায়িত্ব এখন অনেক। আপনি নিরাশ হবে না। আমরা সব সময় আপনার সাথে আছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, র্যা পিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহা-পরিচালক বেনজীর আহেমদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ছিলেন ঢাকা ১১ আসনের সংসদস সদস্য একেএম রহমত উল্লাহ (এমপি)।