যমুনা ও বসুন্ধরার মতো কোনো আবাসন নির্মাতা কোম্পানির সঙ্গে আপস না করে কুড়িল ফ্লাইওভারের পাশে লেক বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারো আপত্তিতে কান না দিয়ে ‘দ্রুত’ কাজ শেষ করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কুড়িল ফ্লাইওভারের ওখানে যেখানে দুটো লেক করার কথা, আমি জানি অনেক বাঁধা আছে। ওখানে পুলিশের কিছু জায়গা পড়েছে তারা বাঁধা দেয়। তারপরে যমুনা ও বসুন্ধরা- তাদেরও ঘোর আপত্তি। তবে এই আপত্তিতে কিছু আসে না। মূল প্ল্যানে আছে দুটো লেক হবে। কাজেই এটা খুব দ্রুত করা দরকার। কারো আপত্তি মানার কোনো প্রয়োজন নাই।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওই লেকের সঙ্গে সরাসরি নদীর যোগাযোগ থাকবে। বন্যা বা ভারী বৃষ্টির সময় ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্যই ওই লেক জরুরি।
এর আগে গত ২৫ অগাস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকেও কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পগামী রাস্তার দুই পাশে লেক তৈরির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী, যে লেকের সঙ্গে বালু নদীর সংযোগ থাকবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি জলাশয়ে ‘সাইনবোর্ড টাঙিয়ে’ ভূমি দখলকারী আবাসন নির্মাতাদের ‘ভূমিখেকো’ আখ্যায়িত করেন এবং এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়কে ‘শক্ত’ হতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
রোববার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, কুড়িল ফ্লাইওভারের পাশের ওই এলাকায় লেকের বদলে ‘বক্স কালভার্ট’ করতে চাইছে যমুনা বা বসুন্ধরা গ্রুপ।
কোথাও কোনো বক্স কালভার্ট হবে না। সব লেক হবে, ওপেন লেক হবে। দরকার হলে লেকের পাশ দিয়ে ব্রিজ করে নেবে তারা। তাদের পয়সার তো অভাব নাই।