নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস পরেই শুরু হচ্ছে ফুটবলের নতুন মৌসুম। এর ঠিক আগেই পাতানো ম্যাচ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। পাতানো ম্যাচ রোধে ফিফার পক্ষ থেকে একটা স্পেশাল সেল খোলা হয়েছে ইতিমধ্যে।এখান থেকেই প্রত্যেকটি সদস্য দেশ এবং ফিফার আওতাধিন কনফেডারেশনে সরাসরি যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রন করা হবে। ম্যাচ ম্যানপুলেশন বা ম্যাচ ফিক্সিং এই জাতীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে ক্লোসলি মনিটরিং করার জন্য।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ এ সম্পর্কে বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই ইন্ট্রিগিটি অফিসার হিসেবে লোকমান হোসের ভূইয়াকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যিনি অন্যান্য দায়িত্বের সাথে সাথে ম্যাচ ম্যানুপুলেশনএবং পাতানো ম্যাচ সংক্রান্ত বিষয়াদিগুলো দেখবেন পর্যবেক্ষন করবেন।’
তিনি আরো যুক্ত করেন, ‘স্বয়ং ফিফা থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয় প্রত্যেকটি মেম্বার এসোশিয়েশনে একজন করে অফিসার নিয়োগ দেয়ার জন্য। যাদের ডেজিগনেশন হবে ‘ইন্ট্রিগিটি অফিসার’। যার মূল দায়িত্ব থাকবে সেই মেম্বার এসোশিয়েশনের পক্ষ থেকে পাতানো ম্যাচ সংক্রান্ত কোন বিষয় বা কোন ম্যাচ পাতানো হতে পারে সেরকম কোন বিষয় ফিফা এবং এএফসিকে জানানো।’
ফিফা এবং এএফসির অবজারভেশনে যদি কোন ম্যাচ সম্পর্কে কোন তথ্য থাকে তাহলে ফিফা এএফসি তখন খুব শীঘ্রই সেই কন্ট্রাক পারসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবে পাতানো ম্যাচ সম্পর্কিত এবং ফিফা এএফসির যদি কোন নির্দেশনা থাকে সেগুলো তারা জরুরি ভিত্তিতে অনুসরণ করতে পারে।
ফিফা এবং এএফসির পলিসি অনুযায়ী পাতানো ম্যাচের বিষয়ে যেহেতু তাদের জিরো টলারেন্স এবং পাতানো ম্যাচের বিষয়ে তাদের যে নির্দেশনাগুলো রয়েছে। সেগুলো পালন করার জন্য তারা সবসময় মেম্বার এসোশিয়েশনগুলোকে উদ্বোদ্ধ করে। সেই উদ্বোদ্ধ করার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আমাদের আসন্ন ফুটবল মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লিগ এই খেলাসমূহের বাইলজেও পাতানো ম্যাচ রোধকল্পে পাতানো ম্যাচ সনাক্ত করবে এবং ফিফা এএফসির যেসব নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো অনুসরন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পাতানো ম্যাচ সম্পর্কে বাফুফের অবস্থান সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাফুফে পাতানো ম্যাচের ব্যপারে খুবই সতর্ক। সেই জন্যই আমাদের আওতাধীন যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতাগুলো আছে, যেমন ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটি কতৃক আয়োজিত প্রথম বিভাগ লিগ ,দ্বিতীয় বিভাগ লিগ,তৃতীয় বিভাগ লিগ। মহিলা ফুটবল কমিটি কতৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতা সমুহ। পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ, জেলা ফুটবল লিগ রয়েছে তাদেরকে আমরা নির্দেশনা প্রদান করেছি তারা যেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ এবং চ্যাম্পিয়নশীপের খেলাগুলোয় পাতানো ম্যাচ সংক্রান্ত যে শাস্তিগুলো রয়েছে যেমন পয়েন্ট কর্তন আর্থিক জরিমানা করা। সংস্লিস্ট পাতানো ম্যাচের ফলাফল বাতিল করা, পাতানো ম্যাচের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়াএবং পাতানো ম্যাচের বিপক্ষে জোড়ালো ভুমিকা রাখা এমন নির্দেশনা প্রদান করে আমরা সকল কমিটি এবং সংস্থাসমুহের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি সেটি বাস্তবায়নের জন্য।’