সমুদ্রপথে মানব পাচার বাড়ায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

0
442

UN
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে ঝুঁকিপূর্ণ মানব পাচার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একটি প্রতিবেদনে মানব পাচারের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরার পর জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, বঙ্গোপসাগর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানবপাচারের ঘটনা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ঘটেছে।
থাইল্যান্ডের সংখ্যলা প্রদেশে গত সপ্তাহে গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় ২৬টি মৃতদেহ। শুক্রবার রয়টার্স একই প্রদেশের একটি পার্বত্য এলাকায় জীবিত অবস্থায় শতাধিক অভিবাসীর সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে, যারা মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
থাই জঙ্গলের ওই শিবিরগুলো এবং পাদাং বেসারের চারপাশের কৃষি এলাকাগুলো মানবপাচারের আখড়া বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র অ্যাড্রিয়ান এডওয়ার্ডস জানান, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা মানব পাচারের শিকার হয়েছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।
ডুজারিক বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনিয়মিত সমুদ্রপথে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়া পৌঁছানোর আশায় ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে যাত্রা করছেন হাজারো মানুষ।
অবৈধপথে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া পৌঁছানো ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এসব যাত্রায় এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৩০০ ব্যক্তি মারা গেছেন। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে মারা গেছেন মোট ৬২০ জন। এদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে ক্ষুধা-তৃষ্ণা আর নির্যাতনে। অনেকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথাও বলেছেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সংখ্যলা প্রদেশে গণকবরে পাওয়া মৃতদেহগুলো বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভিবাসীদের। ইউএনএইচসিআ আশা করছে, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
মানব পাচার ঠেকাতে সংস্থাটি এ অঞ্চলের দেশগুলোকে আরও নিবিড়ভাবে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নিষিদ্ধ এ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ওপর জোর দিয়েছে।