ঢাকা: সরকারকে নিপীড়ক আখ্যা দিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের টার্গেট হচ্ছে খালেদা জিয়া ও তার দলকে নিশ্চিহ্ন করা। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকারের টিকে থাকার ভিত্তি হচ্ছে নির্দয় জুলুম। অবৈধ ক্ষমতাসীনরা স্বেচ্ছা-অন্ধত্বের দিকে নিজেদেরকে ঠেলে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জা করে নিজেদের সর্বনাশা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বেপরোয়া হয়ে পড়েছে সরকার। সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক ও মিথ্যা মামলা দেয়ার পরও তাদের জিঘাংসা প্রশমিত করতে পারছে না।
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, গুম আর গুপ্তহত্যার হিড়িকে দেশজুড়ে কান্নার রোল উঠলেও সরকারের ক্রোধ যেন মিটছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে তাদেরকে নানা ধরনের অনাচার ও অবাধ হত্যা-বাণিজ্যে লিপ্ত করা হয়েছে।
‘এখানেই শেষ নয়, নিপীড়ক সরকারের টার্গেট হচ্ছে এদেশের জনগণের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দলকে নিশ্চিহ্ন করা। সেই লক্ষ্যেই ভোটারবিহীন ক্ষমতাধররা একের পর এক সিরিজ মামলা দিয়ে যাচ্ছে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে’ যোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদে প্রধানমন্ত্রী গুলশান কার্যালয়ে আসাটাকে বিএনপি ইতিবাচক হিসেবেই দেখেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
‘কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- শোক জানানোর চেয়ে শেখ হাসিনার নোংরা রাজনীতিটাই যেন মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। সেটাই হাসিল করা হচ্ছে অত্যন্ত জোরেশোরে’ বলেন তিনি।
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, সরকার মনে করছে, শেষ অস্ত্র হিসেবে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিলেই বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের চলমান আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে। বরং আন্দোলন আরো চরম তীব্রতায় ধেয়ে যাবে ভোটারবিহীন সরকারের মসনদের চুড়ান্ত পতন ঘটাতে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার আগুন এতো লেলিহান যে, তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেক্টর কমান্ডার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র কোকোর লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করতে দিলেন না।’
‘এমনকি কোকোর জানাজায় যাতে লোক সমাগম বেশি না হয়, সেজন্য বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কুলেজ ও মাদ্রাসাসহ ২০-দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দকে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী হুমকি দিয়েছে’ অভিযোগ করেন রিজভী।
কোকোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানাতে আসার উদ্দেশ্যই ছিল অপরাজনীতি ও কুটিল চাতুরী। সরকারের এহেন ঘৃণ্য মানসিকতায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান তিনি।